![]() |
Image source |
লাদাখ সীমান্তে দুই দেশের সম্পর্কের উত্তেজনা এখনও কমেনি। এর মধ্যেই ভারতকে ভাবাচ্ছে একটি রিপোর্ট। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারতের বিচ্ছিন্নতা সংগঠনগুলোকে অস্ত্র জোগাচ্ছে চীন। সংগঠনের নেতাদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। সে কারণে মায়ানমার সীমান্তে সক্রিয়তা বেড়েছে সেগুলোর।
চীনের প্রক্সি হিসেবে কাজ করছে মায়ানমারের সশস্ত্র বাহিনী ড্ব্লিউএ স্টেট আর্মি এবং আরাকান আর্মি। এই আরাকান আর্মিকে এ বছর জঙ্গি সংগঠনের তকমা দেওয়া হয়েছে। এরা ভারতের উত্তর–পূর্বের রাজ্যগুলোয় সক্রিয় বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলোকে অস্ত্র জোগাচ্ছে। একথা জানালেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ভারতীয় আমলা।
ওই আমলার কথায়, বিভিন্ন নিরাপত্তা সংস্থা মোদি সরকারকে এই বিষয়ে সতর্ক করেছে। তারা জানিয়েছে, এই অক্টোবরে অন্তত চার জন বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা চীনের কুনমিংয়ে অস্ত্রশিক্ষা নিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে অন্তত তিন জন নাগা বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের নেতা রয়েছেন। চীনের বর্তমান ও প্রাক্তন সেনাকর্তা, মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে কথাও বলেছেন তাঁরা।
যদিও চীনের বিদেশমন্ত্রক এই দাবি উড়িয়ে দিয়েছে। এক বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, চীন কখনওই অন্য দেশের কাজকর্মে নাক গলানোর পক্ষপাতী নয়। ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, বরাবরই অস্ত্র রপ্তানির ক্ষেত্রে দায়িত্বজ্ঞানের পরিচয় দিয়েছে চীন। অস্ত্র পাচারের পক্ষে নয় তারা। অন্য দিকে, মায়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী ইউনাইটেড ওয়া আর্মিও অস্বীকার করেছে যে, চীনের প্ররোচনায় ভারতের জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোকে অস্ত্র সরবরাহ করছে তারা।
সুত্র : আজকাল
0 মন্তব্য