![]() |
Image source - zeenews |
ভারতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলির প্রয়োজনীয় অনুমতি পেলে আগামী জুনেই কোভ্যাক্সিন বাজারে নিয়ে আসার কথা ভাবছে ভারত বায়োটেক। তবে এই মুহূর্তে সংস্থার মূল লক্ষ্য দেশ জুড়ে টিকার তৃতীয় পর্বের পরীক্ষা–নিরীক্ষা সফল করা।
ফেসবুকে খবরের আপডেট পেতে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ এবং পুনের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভায়রোলজির সহযোগিতায় কোভিড–১৯ প্রতিরোধী টিকা কোভ্যাক্সিন তৈরি করছে হায়দরাবাদের এই সংস্থা। সংস্থার ইন্টারন্যাশনাল এগ্জিকিউটিভ ডিরেক্টর সাই প্রসাদ বলেন, ‘পরীক্ষা–নিরীক্ষা পর্বের জোরালো সাক্ষ্যপ্রমাণ ও সংশ্লিষ্ট তথ্য, সংক্রমণ প্রতিরোধে টিকার কার্যকারিতা— সব তথ্য পেশ করার যদি প্রয়োজনীয় অনুমতি পাই, ২০২১ সালের দ্বিতীয়ার্ধেই আমরা টিকা বাজারে নিয়ে আসব।’ সে–ক্ষেত্রে কোভ্যাক্সিনই হবে ভারতের প্রথম প্রতিষেধক।
প্রসাদ জানিয়েছেন, ড্রাগ কন্ট্রোলার অফ ইন্ডিয়ার অনুমতি পাওয়ার পর তৃতীয় পর্বের পরীক্ষা কীভাবে সফল করা যাবে, সেদিকেই নজর দিয়েছে কোম্পানি। তিনি বলেন, দেশের ১৩ থেকে ১৪টি রাজ্যের ২০ থেকে ২৫টি হাসপাতালে কোভ্যক্সিনের তৃতীয় পর্বের পরীক্ষা চালানো হবে। পরীক্ষা–পর্ব শুরু হবে চলতি মাসেই। হাসপাতাল–পিছু ২,০০০ জনের মধ্যে থেকে স্বেচ্ছাসেবকদের বাছাই করা হবে। একদলকে দেওয়া হবে সম্ভাব্য টিকা এবং বাকিদের দেওয়া হবে সাধারণ ওষুধ।
ফেসবুকে খবরের আপডেট পেতে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ
টিকা বণ্টনের বিষয়ে সাই প্রসাদ বলেন, ‘টিকার জন্য বিনিয়োগ করেছি ৩৫০ থেকে ৪০০ কোটি টাকা। তৈরি হবে টিকা তৈরির নতুন পরিকাঠামো। ভারত বায়োটেক সরকারি ও বেসরকারি, দু’ধরনের প্রতিষ্ঠানকেই টিকা সরবরাহ করতে চায়। তা ছাড়া অন্য দেশেও টিকা সরবরাহ করার কথা ভাবা হচ্ছে। তবে সম্ভাব্য টিকার দাম এখনও ঠিক হয়নি।’
বিশ্বের বিভিন্ন দেশকে নিয়ে করা এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, ভারত এখন বছরে ৬০ কোটি ডোজ টিকা তৈরির বরাত নিয়েছে। এ ছাড়া আরও ১০ কোটি ডোজ উৎপাদন করা নিয়েও কথা চলছে।
সুত্র : আজকাল
0 মন্তব্য